ওর স্যালাইন এর দাম কত? Orsaline এর উপকারিতা ও অপকারিতা

Facebook
WhatsApp
Telegram

ডায়রিয়া, বমি বা অতিরিক্ত ঘামের কারণে শরীরে পানিশূন্যতা (ডিহাইড্রেশন) দেখা দেয়। এই অবস্থায় দ্রুত চিকিৎসা না করা হলে শরীরে গুরুতর সমস্যা দেখা দিতে পারে। ওর স্যালাইন হল একটি সহজলভ্য ও কার্যকরী ওরাল রিহাইড্রেশন সলিউশন (ORS), যা পানিশূন্যতা দূর করতে সহায়ক।

ওরস্যালাইন কি?

এটি এক ধরনের দ্রবণ যা গ্লুকোজ, লবণ, পটাশিয়াম ও অন্যান্য ইলেকট্রোলাইট সমৃদ্ধ। ডায়রিয়া, বমি এবং অতিরিক্ত ঘামের কারণে শরীরে যে পানি ও লবণের ঘাটতি তৈরি হয়, তা পূরণ করতে অর্সালাইন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

ওরস্যালাইনের উপকারিতা

ওরস্যালাইনের উপকারিতা অসংখ্য। এটি দ্রুত শরীরের ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্য ফিরিয়ে আনে। ওরস্যালাইন পান করলে শরীরের পানিশূন্যতা দূর হয় এবং তাৎক্ষণিক শক্তি পাওয়া যায়। অল্প খরচে এটি সবার জন্য সহজলভ্য, যা ডায়রিয়া বা বমিজনিত সমস্যা সমাধানে কার্যকর।

ওরস্যালাইন ব্যবহারের নিয়ম

ওরস্যালাইন ব্যবহারের নিয়ম অত্যন্ত সহজ। সাধারণত, এক প্যাকেট ওরস্যালাইন ২০০ মিলি নিরাপদ নরমাল পানিতে মিশিয়ে নিতে হয়। তারপর সেই মিশ্রণটি অল্প অল্প করে পান করতে হবে। এটি খুব দ্রুত পান করা ঠিক নয়, বরং ধীরে ধীরে খাওয়া উচিত, যেন শরীর সহজে এটি শোষণ করতে পারে। ORS ওরস্যালাইন কেন দরকার? এটি পানিশূন্যতা মোকাবেলায় তাত্ক্ষণিক সমাধান হিসেবে কাজ করে।

ডায়রিয়া ও ওরস্যালাইন

ডায়রিয়ার সময় শরীর থেকে প্রচুর পানি বেরিয়ে যায়, যার ফলে দুর্বলতা ও ক্লান্তি অনুভূত হয়। ডায়রিয়ার সময় ওর স্যালাইন পান করলে শরীরের প্রয়োজনীয় লবণ ও পানি দ্রুত ফিরিয়ে আনা সম্ভব।

বমি এবং পানিশূন্যতা মোকাবেলায় ওরস্যালাইন

বমির কারণে শরীর থেকে পানি বেরিয়ে গেলে দ্রুত ওরস্যালাইন গ্রহণ করা উচিত। বমি এবং পানিশূন্যতা মোকাবেলায় ওরস্যালাইন দ্রুত কাজ করে, কারণ এতে থাকা গ্লুকোজ শরীরের পানি শোষণ করতে সাহায্য করে এবং শরীরের শক্তি ফিরে পায়।

ওরস্যালাইনের দাম

ওরস্যালাইনের দাম সবার নাগালের মধ্যে থাকে। এটি খুবই সাশ্রয়ী একটি সমাধান, যা গ্রাম থেকে শুরু করে শহরের বিভিন্ন ফার্মেসিতে পাওয়া যায়। তাই যে কোনো পরিবার সহজেই এটি সংগ্রহ করতে পারে এবং ঘরে মজুত রাখতে পারে। সাধারণত প্রতি প্যাকেট ওর স্যালাইনের দাম তিন থেকে পাঁচ টাকার মধ্যে হয়ে থাকে

ওরস্যালাইন কতটা কার্যকর?

অনেকেই প্রশ্ন করেন, ওরস্যালাইন কতটা কার্যকর? গবেষণায় দেখা গেছে, ওরস্যালাইন পানিশূন্যতার বিরুদ্ধে অত্যন্ত কার্যকরী। এটি ডায়রিয়া, বমি বা অতিরিক্ত ঘামের কারণে হওয়া পানি ও লবণের ঘাটতি পূরণে সাহায্য করে এবং শরীরের ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্য বজায় রাখে।

শিশুদের জন্য ওরস্যালাইন

শিশুদের জন্য ওরস্যালাইন অত্যন্ত নিরাপদ ও কার্যকর। বিশেষত ডায়রিয়া বা বমির সময় শিশুরা দ্রুত পানিশূন্যতায় ভুগে, তাই ওরস্যালাইন তাদের জন্য একধরনের প্রাথমিক চিকিৎসা হিসেবে কাজ করে। শিশুরা সহজে এটি গ্রহণ করতে পারে, এবং এর কোনো ক্ষতিকর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।

ওরস্যালাইন ব্যবহারের সতর্কতা

ওরস্যালাইন ব্যবহার করার সময় কয়েকটি সতর্কতা মাথায় রাখা উচিত। একবার ওরস্যালাইন প্রস্তুত করার পর, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এটি পান করতে হবে। যদি অবস্থার উন্নতি না হয়, তবে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

ওরস্যালাইন একটি জীবনরক্ষাকারী দ্রবণ, যা প্রায় প্রতিটি পরিবারে মজুত থাকা উচিত। এটি সহজেই পানিশূন্যতা দূর করে এবং শরীরের সুস্থতা ফিরিয়ে আনে।

Leave a Comment